Pages

Tuesday, August 30, 2016

DVM, International degree on Veterinary Science

এইচএসসি পাসের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে ছাত্র ছাত্রীরা সঠিক সাবজেক্ট চয়েজ করতে না পারায় অনেকের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিস্প্রভ হয়ে যায় ।এক্ষেত্রে ভেটেরিনারি মেডিসিন অন্যতম একটি সাবজেক্ট যা পড়ে অর্জন করা যায় আন্তর্জাতিক মানের ডিগ্রী DVM।

কৃষি প্রধান দেশ আমাদের বাংলাদেশ, কৃষিক্ষেত্রের বৈপ্লবিক উন্নয়নের জন্য প্রাণী সম্পদের উন্নয়নও অপরিহার্য। আর এ প্রাণী সম্পদের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন দক্ষ ভেটেরিনারিয়ান। প্রাচীনকাল থেকেই ভেটেরিনারি শিক্ষা সারা বিশ্বে মানব কল্যাণে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আজ থেকে প্রায় ২৫০ বছর পূর্বে ফ্রান্সের লিয়ন শহরে ভেটেরিনারি সায়েন্সের যাত্রা শুরু ॥ এনথ্রাক্স, বার্ড ফ্লু প্রভৃতির মতো ভয়াবহ জুনোটিক রোগের প্রাদুর্ভাবে ফলে ভেট-দের চাহিদা এখন প্রচুর। ভেটেরিনারিয়ান হিসেবে ক্যারিয়ার শুরুর অল্প দিনের মধ্যেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব।

ভেটেরিনারিয়ান হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে হলে অবশ্যই ৫ বছর মেয়াদী ডিভিএম কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। যার সাথে রয়েছে এক বছর মেয়াদী ইন্টার্নশিপ। সাধারণত এ বিষয়ে সেমিস্টার পদ্ধতিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পাঠদান হয়ে থাকে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে এই বিষয়ে দেশের একমাত্র বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ রয়েছে ॥
DVM করতে আপনাকে সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ড সহ উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ভর্তি পরীক্ষায় নির্বাচিত হতে হবে ।
Anatomy ,Histology,physiology,Parasitology, pharmaceutical, medicine, Microbiology,dairy science, animals nutrition, Surgery & Obstetrics সহ animal health রিলেটেড বিষয়াবলী DVM কোর্সে পড়ানো হয় ॥
লেখাপড়া অনেকটা মেডিকেল ধাচে ।


# ক্যারিয়ার ---
# বিসিএস-এ ভেটেরিনারি ছাত্রদের জন্য রয়েছে বিশেষ কোটা। এছাড়া বিসিএস-এর অন্য ক্যাডারেও ভেটরা প্রতিযোগিতা করতে পারবে।
# বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান যেমন ICDDRB, BLRI, LRI, FRI - এগুলোতে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতে পারবে ।
# সেনাবাহিনীতে ভেটেরিনারি পেশার জন্য স্বতন্ত্র ‘কোর’ রয়েছে যার নাম Remount Veterinary and Farm Core.
# বিভিন্ন Livestock Product Company যেমন- আইসক্রিম, জুস, বাটার,
ক্যান্ডি, কোলা, মিল্ক ও মিট ইন্ডাস্ট্রি-এ চাকরির অপার সুযোগ।
# ভেটদের রয়েছে উন্নত বিশ্বের যে কোনো দেশে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বৃত্তিমূলক শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ!
# প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা,সিটি কর্পোরেশন,পাঁচতারা হোটেলগুলোতে মিট ইন্সপেক্টর, পাবলিক হেলথ অফিসার হিসেবে চাকরির সুযোগ।
# চিড়িয়াখানা, সাফারি পার্ক, সুন্দরবনে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ডাক্তার হিসেবে চাকুরির সুযোগ।
# এছাড়া প্রাইভেট প্র্যাকটিস, ফার্ম বিজনেস, ল্যাবরেটরি, ভ্যাকসিন
প্রোডাক্ট ইত্যাদির মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সূবর্ণ সুযোগ তো রয়েছেই।


সর্বপরী ভেটেরিনারি মেডিসিন বর্তমানে একটি যুগোপযোগী এবং মূল্যবান সাবজেক্ট।।

Wednesday, August 24, 2016

Poisonous Snakes of The World

এরাই পৃথিবীর ভয়ংকরতম বিষধর সাপ

আমেরিকার সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন থেকে বলা হয়, শুধু আমেরিকাতেই বছরে ৭-৮ হাজার মানুষ বিষাক্ত সাপের কামড়ে প্রাণ বাঁচাতে হাসপাতালে ছোটেন। গোটা বিশ্বেই বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক বিষাক্ত সাপের বাস রয়েছে। পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপগুলো সম্পর্কে কম-বেশি ধারণা রয়েছে মানুষের। এই অদ্ভুত প্রাণীটিকে নিয়ে মানুষের আগ্রহের কোনো কমতি নেই। বিশেষজ্ঞরা তুলে ধরেছেন ভয়ংকরতম কয়েকটি সাপের কথা।
১. র‌্যাটলস্নেক : উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় দেখা যায় এই সাপদের। আমেরিকার বিষাক্ত সাপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রজাতির এটি। র‌্যাটলস্নেক ১-৮ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। গ্রীষ্মের গরম রাতে এরা খুব বেশি আগ্রাসী হয়ে ওঠে।
২. ভাইপার : গোটা বিশ্বেই এদের দেখা মেলে। এদের চলাফেরা খুবই দ্রুত। আবার খুব দ্রুত চটে যায় এরা। এদের বিষে সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথা ও রক্তক্ষরণ ঘটে। গ্যাবুন ভাইপারের রয়েছে সবচেয়ে বড় আকারের বিষদাঁত। এই সাপ ওৎ পেতে থাকে এবং হঠাৎ আক্রমণ করে।
৩. ব্ল ক্রেইট : এটা শুধু মানুষকেই কামড়ায় না নয়, সুযোগ পেলে অন্য সাপদেরও কামড় বসায়। এদের বিষ মারাত্মক। এদের একটি কামড় একজন মানুষের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট। এদের বিষ একটি কোবরার বিষয়ে চেয়ে ১৫ গুন বেশি ভয়ংকর।
৪. ডেথ অ্যাডের : বলা হয়, রানি ক্লিওপেট্রা আত্মহত্যার জন্য এই সাপকেই ব্যবহার করেছিলেন। এক কামড়েই যে বিষ দেহে প্রবেশ করে তা রেসপাইরেটরি অ্যারেস্ট এবং প্যারালাইসিস ঘটায়। চিকিৎসা ছাড়া মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত।
৫. সি স্নেক : এই সাপগুলো সমুদ্রের লবণাক্ত পানিতে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে শিখেছে। ইন্ডিয়ান ও প্যাসিফিস সাগরে এদের দেখা যায়। বিভিন্ন আকার ও রংয়ের হয় এরা। মানুষের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে এমন বিষ তাদের রয়েছে। এরা ৯ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।
৬. ব্ল্যাক মাম্বা : এরাই পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগতির সাপ। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি জানায়, এরা দ্রুত, ভীত এবং প্রাণঘাতী বিষ ধারণ করে। বহু মানুষের মৃত্যু কারণ এরা।
৭. ইনল্যান্ড তাইপান : অস্ট্রেলিয়ায় এদের দেখা যায়। ৮ ফুূট পর্যন্ত লম্বা হয়। এদের বিষ মারাত্মক ক্ষতিকর। এদের বিষয় কয়েক ধরনের বিষাক্ত উপাদানের সমন্বয়। মানুষের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রে হামলা চালায়। রক্তে জমাট বাঁধতে শুরু করে। এর নেফ্রোটক্সিন কিডনিতে হামলা চালায়।
৮. টাইগার স্নেক : এটাকেও অস্ট্রেলিয়াতে দেখা যায়। গরম মাসে বেরিয়ে আসে নিজের দুনিয়া থেকে। এদের বিষ মানুষকে বিকলাঙ্গ করতে যথেষ্ট।
৯. ইস্টার্ন ব্রাউন স্নেক : অস্ট্রেলিয়ায় এদের কামড়ে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে। এদের বিভিন্ন রংয়ের হয়। এদের গতি যেমন বিস্মিত করে, তেমনি আতঙ্কিত করে বিষের ক্রিয়া।
১০. কিং কোবরা : বিষাক্ত সাপের মধ্যে পৃতিবীর সবচেয়ে সব সাইজের এরাই হয়। ১৮ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় কিং কোবরা। হুমকির সম্মুখীন হলে দেহের এক-তৃতীয়াংশ মাটি থেকে সটান ওপরে তুলতে পারে। এদের বিষ মানুষকে মেরে ফেলার জন্য যতেষ্ট। সূত্র : এমএসএন

Snail

Shamuk4
শামুকের শরীরে রয়েছে প্রাকৃতিক জলশোধন ব্যবস্থা (ফিল্টার)। এরা ময়লাযুক্ত পানি পান করে। ময়লাগুলো খাদ্য হিসেবে রেখে যে পানিটা বাইরে ছাড়ে তা বিশুদ্ধ। যে ক্ষেতে শামুক থাকে, সেই ক্ষেতের উর্বরতা শক্তি বাড়ে। বেশি ফসল ফলে। এভাবে এরা কৃষকের অগোচরে বন্ধুর ভূমিকা পালন করে।
শামুক ও এর ডিম ইঁদুরের প্রিয় খাবার এবং অল্পতে ক্ষুধা নিবারণ করে। যে ক্ষেতে প্রচুর শামুক পাওয়া যায়, সেই ক্ষেতের ফসলও কম নষ্ট হয়। কই, শোল, শিং ও কার্পজাতীয় দেশি মাছগুলো শামুক ও শামুকের ডিম খেয়ে বেঁচে থাকে। ফলে শামুক